মেয়েটার নাম জোছনা।তারা তিন ভাইবোন। জোছনার বয়স তখন দশ অথবা এগারো হবে হয়তো তখন জোছনার মায়ের একটা বড় ধরনের অসুখ হওয়ায় জোছনার মা মারা জায়। জোছনা তার ভাইবোনের মদ্ধে সবার চেয়ে বড় হওয়ায় সংসারের সব কাজ তাকেই করতে হয়। এদিকে আবার ভাইবোন গুলাও ছটো ছটো ভাই এর বয়স হবে পাচ আর বোনের বয়স হবে এক থেকে দের বছর, তাদেরও জত্নের প্রয়জন এই সব কিছু জোছনা একা পেরে উঠছিলনা।তার পরে আবার জোছনার ও তোপরাশুনা করতে হবে। কয়েক মাস ধরে ঘরের কাজ করতে গিয়ে তার পরাশুনা করা হচ্ছেনা সে নিয়মিত স্কুল এ ও জেতে পারছে না এ সব কিছু দেখে প্রতিবেশিরা সবাই জোছনার বাবাকে বলতেছিল যে মাসুদ তুই আর একটা বিয়ে কর মা হারা সন্তান গুলকে একটা মা এনে দে, ওহ বলতেই তো ভুলে গেছি জোছনার বাবার নাম মাসুদ। মাসুদ পেশায় একজন কিরিশক তার জমি জমা আছে অনেক। তার ভাই এর নাম মফিজ এবং বনের নাম রাত্রি। আচ্ছা গল্পে ফিরা জাক। কিন্তু মাসুদ বিয়ের কথাতাতে রাজি ছিল না সে ভাবতো অন্ন কাউকে বিয়ে করলে হয়ত সৎ মা তাদের ভালবাসবেনা তাদের আর ও কষ্ট হবে। কেউ বিয়ের কথা বললে মাসুদ এই কথা বলে।একদিন জোছানার নানি আসে তাদের বাড়ি বেড়াতে, নানী কে দেখে জোছনা জড়িয়ে ধরে কাদে আর বলে নানী আমি আর এইজাগায় থাকপার চাইনা তুমি আব্বারে কউ একটা বিয়া করবার আমি আর এত কাম একলা করবার পারবো না। আমি একটু স্কুলে ও জাইতে পারি না। একটু খেলবার ও সময় পাইনা। আমি আর রাত্রি অহন থেইক্কা তুমার কাছেই থাকব। জোছনার ছোট বন রাত্রি আবার জোছনার নানীর কাছে থাকে তা ছাড়া আর কে এ বা রাখবে জোছনার মা মারা জাওয়ার পর তার নানী রাত্রিকে তার কাসে নিয়ে গেছে। এর পরে দুপুরে জোছনার বাবা বারিতে আসার পরে শাশুরি আর তার ছটো মেয়েকে দেখে সে ভালই খুশি হয়ে বলে উঠল কেমন আছেন মা? আসার পরে কি কিছু খাইছেন? উত্তরে শাশুরি বল্লল হ বাজান আল্লাহ্ ভালই রাখসে তুমি কেমন আছ। এর পরে জ্যছনার নানি জোছনার বাবাকে বলল বাবা তুমি আর একখান বিয়া কর। জোছনার বিয়া হয়ে গেলেঈ তুমারে কে খাউয়াবে রাইনদা বাইরা। এই কথা শুইনা মাসুদ মিয়া বলল কেন মা এই কথা কইতাসেন কেন জোছনাতো এহন ও কত ছোট এত জলদি ওরে বিয়া দিমু কেন।জোছনার নানী তখন বলল আরে মিয়া মাইয়া জহন হইসে তারেপ ত বিয়া দেওন ই লাগব সে আইজ হোক বা দুইদিন পর। আর জোছনার কি পরাশুনাকরা লাগব না পরাশুনা না করলে অহন র বিয়া দিয়া লাগবনানে অহনকার দিনে পরাশুনা না জানা মাইয়া কেউ বিয়া করবার চায় না। আর তাছারা জোছনা ও কইতাছে আমি স্কুল এ জামু পরাশুনা করমু। এই কথা শুনে জোছনার বাবা আনমনা হয়ে কি জেন ভাবতে লাগল, তা দেখে জোছনার নানী তার বাবাকে বলে উঠল, ওতো কিছু ভাইবনা বিয়াটা কইরা ই হালাউ এতে ভালা ই হইবনে তুমি আর চিন্তা কইরনা এসব শুনে জোছনার বাবা আর কিছু না বলে অইখান থেকে চলে আসল। দুশ্চিন্তা জেন তার পিছু ই ছাড়ছে না। তার পর এভাবেই কাটছিল তাদের দিন। জোছনাও হাপ্সে উঠছিল। সে তার সহপাঠিদের দেখে আর মনে মনে ভাবে আজ যদি আমার মা বেচে থাকত তাহলে আজ আমিও স্কুলে জেতে পারতাম সবার সাথে খেলতে পারতাম,ঘুরতে ও তো পারতাম,আমার সমোবয়সি সবার জীবন টা কিভাবে কাটছে আর আমার জীবন টা ই বা কিভাবে কাটছে। এসব ভাবতে ভাবতে একটা সময় জোছনার চোখ জলে ভরে গেল। জোছনার বাবা ও কেমন জেন একটা হয়ে গেছে কেমন জেন সব সময় একা একা বসে আনমনে কি জেন একটা ভাবে, হয়ত একাকিত্ত বোধ তাকে কাদাচ্ছে। জোছনার বাবা কেমন একটা দুটানায় পরে গেছে সে একবার ভাবছে বিয়ে করবে না এই ভয় এ যে তার সৎ মা তার সন্তান্দের ভালবাসবেনা,, আবার এটাও ভাবছে একাকি জীবন কাটাব কিভাবে। জোছনার বাবা তার বন্ধু আনিস এর সাথে এসব কথা বলে এবং একটা পরামর্শ চায়।তার বন্ধু তাকে বলে তোর আসলে ই একটা বিয়ে করা উচিত। আনিস তাকে বলে তোর ওই টুকু একটা মেয়ে একা একা আর কত কিছু করবে ওর কি পরাশুনা করা লাগবেনা আর তাছাড়া সব মানুশ তো আর এক রকম না যে তোর সন্তান্দের ভালবাসবে না। এমন ও তো হইতে পারে যে জাকে তুই বিয়ে করলি সে তর সন্তান্দের সৎ মা না বরং আপন মায়ের মত ই আদর স্নেহ ভালবাসা দিয়ে লালন পালন করবে। এসব কোনো কিছুতেই জেন মাসুদ এর মন সাড়া দেয় না। মাসুদ তখন তার বন্ধুকে বলে আচ্ছা আমি তাহলে আজ উঠি। আনিস বলে কেন যাবি আর কিছুখন থেকে জা। তুই যদি হা বলিশ তাহলে আমি মেয়ে দেখতে বলি তোর ভাবিকে ও ভাল করে খোজ খবর নিয়ে মেয়ে দেখে দিবে তোর জন্য এ কথা বলে সে হেসে হেসে মজার ছলে বলে উঠল শালা তোর মত যদি আমার এরকম সুজগ আসত আবার বিয়ে করবার তাহলে তো আমি নাচতে নাচতে চলে যেতাম তোদের সবাইকে নিয়ে এই বলে আনিস হা–হা– হা করে হেসে উঠল আর মাসুদ তখন মুচকি হেসে ওইখান থেকে চলে আসল বাড়ির দিকে ওই দিকে বাড়িতে জোছনা আর তার ভাই একা আছে না খেয়ে তারা বাবার জন্যে অপেক্ষা করছে। আজ আবার জোছনা মাছের ডিম ভুনা করছে বড় মাছের ডিম ভুনা জোছনার খুব ই পছন্দের, সব থেকে বেশি পছন্দের হয় ইলিশ মাছের ডিম। হঠাত জোছনা শুনতে পেল বাইরে থেকে আওয়াজ আসছে জোছনা মা ডরজা খুলো তার আর বুঝতে বাকি রইল না যে তার বাবা আসছে এখন।জোছনা বিছানা থেকে উঠে এক দোর দিয়ে চলে আসে দরজায়, দরজাটা খুলেই জোছনা বলে উঠে এত্ত দেরি করলা ক্যান আব্বা তুমি জাননা যে আজকে বড় মাছের দিম ভুনা করছি এক সাথে খাবো, মফিজ ও তো না খেয়ে ঘুমায় গেল তুমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে তুমি কোথায় গেছিলা এত দেরি হইল যে! জোছনার বাবা তখন বলল গেছিলাম এক জায়গা তুমি খাবার বারো আমি আসতেছি মফিজ রে নিয়ে আসি।এই কথা বলে জোছনার বাবা ঘরে ঢুকে মফিজ কে ডাকতেছে, মফিজ বাবা উঠ ভাত খাইয়া ঘুমাও তুমার বোন আজকে বর মাছে দিম ভুনা করছে আসো মজা করে খামু আমরা উঠ তারাতারি উঠ। এই দিকে জোছনার খাবার বারা হয়ে গেছে, জোছনা ডাকতেছে আব্বা আসো খাবার দিছি খাবা না আসো। জোছনার আব্বা ও চলে আইছে ওর ভাই কে নিয়ে। খাবার ঘরে আসার পরে জোছনা বলে উঠল ওর ভাই কে, কিরে তুই ও চলে আইছিস আমি আরো ভাবলাম যে তোর ডিম টুকু ও আমি খাবো আজকে বলে জোছনা হেসে দিল। জোছনার বাবা বলল ওর ভাই কে আয় মফিজ খেয়ে দেখি তোর বইন কি রাধসে কেমন হইছে আমরা খাইয়া দেখি তো এই কথা শুনে জোছনার মন তা খারাপ হয়ে গেল, জোছনার বাবা বেপারটা খেয়াল করে বলল কি রে কি হইল তোর মন ডা খারাপ হয়ে গেল ক্যান,,,,,,
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস